দিন দিন ধর্মের পথে আসছে তরুণ প্রজন্ম। নিয়মিত সালাত আদায়সহ ইসলামী আচার-ব্যবহারের প্রতি ঝুঁকছে যুব সমাজ। ২০১৭ সালের চেয়ে মসজিদে তরুনদের উপস্থিতির হারও বেড়েছে।
সম্প্রতি আলেম-উলামাদের ওয়াজ-নসীহতের প্রভাবেই এমনটি ঘটছে বলে ধরাণা ইসলামী স্কলারদের। ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক চলাফেরা করা, চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় আদেশ-নিষেধের প্রতি অনগত থাকছে যুবকরা।

বর্তমান তরুণদের জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। অনেকের জামাত ছুটে গেলেও একাকী সালাত আদায় করছে। কেউ কেউ দু এক ওয়াক্ত মিস হলেও বাকী’ গুলো পড়ছে। আর এভাবেই যুব সমাজ ইসলামী সুশীতল ছায়াতলে চলে আসছে।
পারিবারিক দিক থেকে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার প্রবণতা বাড়ছে। নিজেদের সন্তানদের মাদ্রাসায় ভর্তি করানো। নিজেদের স্বল্প ধ’র্মীয় জ্ঞানের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। নানান ইস’লামী বই কিনে, পড়া প্রভৃতি প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশে আয়োজিত ইসলামী এবারের ইসলামী বই মেলায় বেচাকেনার হার আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। মেলায় বই বিক্রি করা প্রকাশনী গুলো চিন্তাও করেনি এতোটা পাঠক হবে, কোনো পাবলিসিটি ছাড়াই এতোটা বেচা-কেনা হবে । শুধু ফেসবুকেই যেটুকু পাবলিসিটি ছিলো তাদের! তাতেই মেলার সময় এমনকি শুক্রবারে হাটাও অনেকটা কষ্টসাধ্য ছিলো মেলা চত্ত্বরে।
ইসলামিক স্কলারদের মতে, মানুষ দিন দিন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে নিজেকে চিনতে চাইবে, নিজের অস্তিত্ব খুঁজে বের করবে, আল্লাহকে চিনবে তার আনুগত্য পালন করবে। যে যত বেশি সু শিক্ষায় শিক্ষিত হবে ততবেশি ধার্মিক হবে এটাই স্বাভাবিক!
এখন ধার্মিকতা, আল্লাহ ভীরুতাই স্মা’র্টনেস বলে দাবি করছেন তারা।